বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নীচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলাটির বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর জন্য দাখিল করা আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন। যার ফলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে মামলাটির বিচারকাজ।

আগামী ২৮ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে হাজির হতে বলেছেন আদালত।

এর আগে, গত ২২ আগস্ট তৌহিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ওই দিন মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের সময় শেষ হয়ে গেছে মর্মে একটি আবেদন করে। তাই মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর প্রার্থনা করেন। ওই দিন আদালত শুনানি শেষে বুধবার আদেশের জন্য রাখেন। আজ ওই বিষয়ে আদেশ দিলেন।

এই মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।